ভাড়েরা পীরবাড়ি মাদরাসা

প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান
নাম: আনসারিয়া মুশতাকিয়া দারুল উলূম পীরবাড়ি
ঠিকানা: ভাড়েরা পীরবাড়ী, তাজপুর, ওসমানীনগর, সিলেট
স্থাপিত ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং

অবস্থান: প্রতিষ্ঠানটি সিলেট শহরের কেন্দ্র স্থল থেকে অনুমানিক ২৬ কি,মি, দূরে ওসমানিনগর থানার তাজপুর শহর থেকে পশ্চিম দিকে ভাড়েরা পীরবাড়ী অবস্থিত। পীরবাড়ীর ঐতিহ্য-ভাড়েরা পীরবাড়ী খ্যাত এই বাড়ীটির প্রথম বসতিকারী পুরুষ সৈয়দ ছিদ্দেক আলী রহঃ হযরত শাহ জালাল রহঃ সহগামী আওলিয়া,হযরত সৈয়দ কুতুব উদ্দিন রহঃ ৭ম অধস্তন পুরুষ। এ বাড়ীর পীর সাহেবরা গতানুগতিক পীর-মুরিদী ধারায় তাদের কর্মকান্ড চালান নি। খাটি সুন্নতের নববীর অনুসরণকারী এ বাড়ীর সাধক বৃন্দ বঙ্গ-ভারতের দুই প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা ইয়াকুব বদরপুরী রহঃ ও কুতবে আলম হযরত সৈয়দ হোসাইন আহমদ মদনী রহঃ দের খেলাফতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ বাড়ীতে বিভিন্ন সময়ে আগমন করেছেন। কুতবে আলম সৈয়দ হোসাইন আহমদ মদনী রহঃ হযরত মাওলানা শায়েখ নুরুল হক ধরমন্ডলী। হযরত মাওলানা শায়েখ হাবিবুর রহমান রায়পুরী রহঃ। হযরত মাওলানা আব্দুল মান্নান শায়েখ গুনই রহঃ। ও ফখরুল মহাদ্দিছিন আল্লামা শায়েখ নুরুল উদ্দিন গহর পুরী রহঃ। শায়েখ হযরত মাওলানা ক্বারী আলী আকবর ছিদ্দীকী ভানুগাছী রহঃ। সহ অসংখ্য আলেম, রাজনীতিবিদ,ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক।

মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা ও ভূমি দাতা বৃন্দ (১) সৈয়দ এনামুল হক (২) সৈয়দ এমদাদুল হক (৩) সৈয়দ এহিয়াউল হক (৪) সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা (৫) সৈয়দা আরছিয়া সুলতনা। সর্বপিতা-মরহম সৈয়দ আনছার আহমদ। মাতা রিনা বেগম চৌধুরী। ( প্রকাশ থাকা অবশ্যক যে, মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা ও ভূমিদাতাবৃন্দের মৃত্যুর পর তাদের উত্তরাধিকারীরা মাদরাসা কর্তৃত্ব ও পরিচলনায় সম্পৃক্ত থাকবেন। কোন অবস্থায়ই এর ব্যাত্যয় ঘটানো যাবেনা )

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো কোরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন এবং সে অনুযায়ী আদর্শ জীবন গঠন পূর্বক ইহকাল ও পরকালের সফখলতা অর্জন করা। কোরআন সুন্নাহর ভাষা যেহেতু আরবী, আর আমরা বাংলা ভাষাবাষি: কাজেই ভাষা দুরত্ব অনস্বীকার্য। দ্বীনি ইলম অর্জনের প্রোয়জনে আরবী ভাষা শিক্ষা ও অপরিহার্য বঠে। কিন্ত কিছু আরবী শব্দের অর্থ জানার নাম দ্বীনি ইলম অর্জন নয়। বরং তাফাক্কুহ ফিদ্দিন অর্থাৎ ইলমে দ্বীন হচ্ছে। দ্বীনের বিচক্ষণতা অর্জনের নাম। নিজে উপলব্ধি করা আর অন্যকে উপলব্ধি করানো এ দুয়ের সমন্বয়েই ইলমে দ্বীনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীদের এমন ভাবে প্রস্তুত করা যেন তারা কোরআন ও সুন্নাহর বিচক্ষণতা অর্জনের, সঙ্গে সঙ্গে মাতৃভাষায় ও তার অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায়। পরিবার সমাজ এবং ইহলোকিক জীবনে সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্য অর্জন সক্ষম হয়।