হযরত সৈয়দ ইসমাইল আলী রহ. এর জীবনী | |
---|---|
ভাড়েরার সৈয়দ বংশের অন্যতম কৃতি পুরুষ, হাজার হাজার মুরিদানদের শ্রদ্ধাভাজন মুর্শিদ, নিষ্ঠাবান আধ্যাত্ম সাধক, এ অঞ্চলের নিপিড়ীত নির্যাতিত কৃষক সমাজের নিরলস সংগঠন, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব হযরত সৈয়দ ইসমাইল আলী রহঃ সমগ্র সিলেটব্যাপী যার পরিচিতি-খ্যাতি বিদ্যমান। তৎকালীন সিলেটের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, খেলাপত ও অসহযোগ আন্দোলন কৃষক-প্রজা শ্রেণীর অধিকার আন্দোলন ও ধর্মীয় পূণ্যজাগরণী আন্দোলন যে ক’জন সমগ্র সিলেট তথা প্রদেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্ব জনাব মৌলানা আব্দুল হক চৌধুরী (বুরুঙ্গা) মৌলানা আব্দুল মছব্বির চৌধুরী (রাউৎখাই) ডাক্তার মরতুজা চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর্যে এসে আধ্যাত্ম সাধক সৈয়দ ইসমাইল আলী ও গণ মানুষের নেতৃত্বে বরিত হন। আমরা বিস্মিয়ের সাথে লক্ষ্য করি বৃহত্তর সিলেটের শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার ভক্ত যাকে আধ্যাত্মিক পথ প্রদর্শক ভেবে তার হাতে মুরিদ হয়েছিলেন, তাকেই আমরা মেঠো পথে পাই কৃষক সংগঠন হিসেবে, রাজপথে পাই আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্বে। বহ গুণের অধিকারী কূতিপুরুষের অজস্র অলৌকিক কর্মকান্ডের জনশ্রুতির সাথে আমরা পরিচিত হই তথ্যানুসন্ধান কালে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশক থেকে দেশ বিভাগ কাল অর্থাৎ ১৯৪৭ ইংরেজী পর্যন্ত সিলেট তথা গোটা ভারতবর্ষ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছিলো। বৃটিশের হাত থেকে গোটা ভাড়তবর্ষের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা, হিন্দ-মুসলমান দু’প্রধান জাতির ঐক্য প্রচেষ্টা ও স্বাতন্ত্রবোধ, মুসলমানদের কেন্দ্রিয় খেলাপত-অসহযোগ যুগপথ আন্দোলন, সামাজিক পর্যায়ে জমিদারদের সাথে প্রজাদের দ্বন্দ্ব, জোতদার-মহাজনদের সাথে কৃষক-মজুর শ্রেণীর ঋণ, লগ্নী ও অন্যান্য শোষণ নির্যাতন বিষয়ে চরম সামাজিক, অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বে গোটা ভারতবর্ষের ন্যায় সিলেটের এ অঞ্চলের ও বিরাজিত ছিলো চরম দ্বন্দ্ব-সংগ্রাম, দ্রুত আর সম্প্রদায় শ্রেণী ও গোষ্ঠী ভিত্তিক ঐক্য প্রচেষ্টা। আলোচ্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইসমাইল আলী সাহেব অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে এ সময় এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ও কর্মতৎপর ছিলেন বলেই প্রমান রয়েছে।
|