সৈয়দ বসারত আলী রহ. (ছোট পীরসাহেব)
সৈয়দ বসারত আলী রহ. (ছোট পীরসাহেব)

সৈয়দ বসারত আলী রহ. (ছোট পীরসাহেব)

হযরত সৈয়দ বসারত আলী রহ. (ছোট পীরসাহেব) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

ভাড়েরা সৈয়দ বংশের কৃতি পুরুষ, আলেম, সাধক খ্যাতিমান আধ্যাত্মিক চিকিৎসক, জন প্রতিনিধি , সমাজ সংস্কারক এবং অসংখ্য অলৌকিক কর্মকান্ডের সাধক নিকট অতীত প্রজন্মের স্মৃতি ও শ্রতিতে কিংবদন্তী পুরুষ হযরত সৈয়দ বসারত আলী রহঃ সাহেব সৈয়দ ইসমাইল আলী সাহেবের কনিষ্ঠ সন্তান। ভক্ত সাধারণ তাকে ‘ফুরুসাব’ বলে সম্বোধন করতেন।সৈয়দ বসারত আলী রহঃ সাহেবের বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে প্রতিভা ও আধ্যাত্ম চেতনার লক্ষণ পরিস্ফুটিত হয়। ভাড়েরা দরগাহ বাড়ীর পীর-মুরিদী কর্মকান্ড, নির্ভেজাল শরীয়ত সম্মত আধ্যাত্ম সাধনা, মানসিক রোগীদের চিকিৎসা, দরগাহ বাড়ীকে ঘিরে এলাকাবাসী ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের জম জমাট আনাগোনা বসারত আলী সাহেবকে ও প্রভাবিত করে। এসব স্বত্বে ও আমরা তাকে পাই জন প্রতিনিধি, সমাজ সেবক হিসাবে। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খান প্রতিষ্ঠিত মৌলিক গণতন্ত্রের সময় তাজপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেম্বার হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও পাকিস্তান আদম-শুমারী ১৯৬১ ইং সালের সময় তাজপুর অঞ্চলে সেন্সার অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার সামাজিক কর্মকান্ড, সমস্যাদি দূরিকরণ, সালিশী কর্মকান্ড ও ধর্মী ও কর্মকান্ডের নেতৃত্বে তিনা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।
এ বংশের মধ্যে সৈয়দ বসারত আলী সাহেব আধ্যাত্ম সাধনার ক্ষেত্রে এক সফলতম সাধকের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। ভাড়েরার পীর সৈয়দ বসারত আলী সাহেবকে দেখেছেন এ রকম লোক বর্তমান প্রজন্মে ও বিস্তর পাওয়া যায়। শিষ্য সাগরেদ নিয়ে রাস্তায় চলেছেন, হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে কথা বার্ত  শুর করেছেন। উপলক্ষহীন আক্রমণাত্মক কথা বার্ত বলে যেতে শুর করেছেন।  বাজারে বা জনসমাগমে প্রসঙ্গ ছাড়া ও বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ কথা-বার্ত বলতে শুর করেছেন।  এরকম প্রায় ঘটতো। তার এ ধরনের আচরণে অনেকে বিব্রতবোধ করলে ও পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যেতো তার এ সকল আচরণ মোটেই অপ্রাসঙ্গিক ছিলনা। তার মানসচক্ষে কোনো কিছু রেখাপাত করেছে এবং তিনি তাতে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন অথচ সাধারণ মানুষ কিছুই টের পায়নি। এসব অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত কর্মকান্ড এই সাধকের জীবন অজস্র রয়েছে। এছাড়াও ভক্ত মুরিদানরা, যাদের অগাধ শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস নির্ভরতা রয়েছে তাঁর প্রতি। মুরিদানরা বিশ্বাস করে পীর সাহেবের কাছে আল্লাহ দেওয়া অলৌকিক কারামত রয়েছে। অথবা কোন সমস্যায় পড়ে পীর সাহেবকে সমাধান বাতলে দেওয়ার আব্দার ধরে। পীর সাহেব তাঁর স্বভাব সুলভ কর্মপন্তা অবলম্বন করলেন এবং তা অবশ্য তাঁর আয়ত্বে থাকা পন্থায়। ভক্তরা দেখে আপ্লুত হয়ে গেল।  এভাবেই একের পর এক কিংবদন্তীর মালা গাঁথা হয়ে থাকে, যা এক সময় উঁচু হতে হতে আকাশ চুম্বী হয়ে যায়। আমরা তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ক’টি এখানে বিবৃত করার চেষ্টা করছি।