হযরত সৈয়দ ইসমাইল আলী রহ. তিন রত্ন সন্তান (১) হযরত সৈয়দ ছদাকত আলী (২) হযরত সৈয়দ মাওলানা সফাকত আলী (৩) হযরত সৈয়দ বসারত আলী। এর মধ্যে সৈয়দ ছদাকত আলী ছিলেন জ্যেষ্ঠ। ভক্ত মুরিদানরা তাকে ডাকতেন ‘বড়োসাব’। সৈয়দ ছদাকত আলী সাহেব উঁচু মাত্রার আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। তিনি বদরপুরী সাহেবের খলিফা।
শরীয়ত পাবন্দ ছদাকত আলী সাহেবের কাছে মুরিদ হবার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসতেন। তাকে ঘিরে প্রচুর অলৌকিক কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে। তার ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যেতো এরকম প্রামাণ রয়েছে। নিজের মৃত্যুবরণের ভবিষ্যদ্বাণী হবহ ফলে গেছে।
ভাই শফাকত আলী (মাইজম সাহেব) মারা যাবার পর ছদাকত আলী সাহেব ঘোষণ করেন ”আমার ভাইয়ের চল্লিশ দিনের ইছালে ছোয়াব উপলক্ষে এই দিন সবাই উপস্থিত থাকবেন। ঐ দিন আমি মারা যাবো ।” শুনে তো লোকজন ‘থ’। কানা ঘুষা, ঠাট্টা মশকরা চললো লোকজনের মধ্যে। মুরিদরা ভক্তি ও বিশ্বাস জনিত দু’টানায় পরলেন। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার উত্তর কুর্শীর আব্দুল হাসিম ঐ বয়েত হবেন। কথা ছিলো। এছাড়া আরেকটি মৃত্যু ঐ পরিবারকে শোকাচ্ছন্ন করে তুললো। সৈয়দ এনামুল হকের বোন বয়স ৩ বৎসর। হঠাৎ করে তার অকাল মৃত্যু ঘটলো। দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার। ছদাকত আলী সাহেব মৃত নাতনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন। আগামী বৃহস্পতিবার আমিও আসছি। লোকজনের মনে দ্বিধা-দন্ধ, সন্দেহ-কৌতুহল সবকিছুর নিষ্পত্তি ঘটিয়ে সাধক পুরুষ হযরত সৈয়দ ছদাকত আলী সাহেব পুর্ব ঘোষিত তারিখেই হঠাৎ করেই মৃত্যুবরণ করেন।